মিরু হাসান বাপ্পী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: শীতের আগমনে বগুড়া জেলার গ্রামগুলোতে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাঁছিরা।
 ছয় ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। এক একটি ঋতুর রয়েছে এক একটি বৈশিষ্ট্য। প্রভাতে শিশির ভেজা ঘাস শীতের আগমনের বার্তা জানান দিচ্ছে। মৌসুমী খেজুরের রস দিয়েই গ্রামীণ জনপদে শুরু হয় শীতের আমেজ। শীত যত বাড়বে খেজুর রসের মিষ্টিও তত বাড়বে।
শীতের দিনের সবচেয়ে আকর্ষণ দিনের শুরুতে খেজুরের রস ও সুস্বাদু পাটালি গুড়। আর সুস্বাদু পিঠা, পায়েস তৈরীতে আবহমান কাল থেকে খেজুর রস ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে খেজুর গাছ কাটার প্রতিযোগীতা পড়ে যায় গাঁছিদের মধ্যে। তাই খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গাঁছিরা। খেজুর গাছ থেকে রস বের করে সুস্বাদু পাটালি গুড় তৈরী শুরু করেছে।
এক সময় গ্রাম্য জনপদের সাধারণ মানুষ শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁপতে কাঁপতে ঠান্ডা খেজুর রস না খেলে যেন দিনটাই মাটি হয়ে যেতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে বগুড়ার খেজুর গাছ। এক সময় দিগন্তজুড়ে মাঠ কিংবা সড়কের দু’পাশে সাঁরি সাঁরি অসংখ্য খেজুর গাছ চোখে পড়ত।
শীতের দিনে খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন গাঁছিরা। খেজুরের রস বিক্রি করে সংসার চালাতেন অনেকেই। কিন্তু এখন আর আগের অবস্থা নেই। দিনে দিনে খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সড়কের দুই ধারে আগের মতো খেজুর গাছ আর দেখা যায় না।
শহরের নারিচা এলাকার  বাসিন্দা বাদশা বলেন, কয়েক বছর আগেও এই অঞ্চলে ব্যাপক খেজুর গাছ দেখা যেত। আমাদেরই প্রায় অর্ধশত খেজুর গাছ ছিল। কিন্তু এখন বিভিন্ন কারনে খেজুর গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে ।
খেজুর রসের পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে। তবে সেই তুলনায় জোগান সীমিত। গাঁছিদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, অগ্রহায়ণ মাসে খেজুর গাছ কাটা শুরু হয়। আর মাঘ মাসের শেষ পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা হয়।